Fruit Juice Vs. Coconut Water: সর্দি-কাশির মরসুমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন? ডাবের জল না কি ফলের রস?
পমাত্রা কমলেই জল কম খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। কিন্তু এই মরসুমে রোগের হাত থেকে বাঁচতে গেলে হাইড্রেটেড থাকা জরুরি। দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল থাকলে, একাধিক রোগের ঝুঁকি কমে। জলের পাশাপাশি চিকিৎসকেরা ডাবের জল ও ফলের রস পান করার পরামর্শ দেন। শরীরের জন্য দুটোই উপকারী। কিন্তু পুষ্টির দিক দিয়ে কে এগিয়ে, ডাবের জল নাকি ফলের রস? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি চিনি পরিমাণ দেখে বাছাই করতে চান, তাহলে ডাবের জল পান করুন। ফলের রসের মধ্যে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের ফলের রস না পান করাই ভাল। অন্যদিকে, ডাবের জলে চিনির পরিমাণ কম। তাই ডাবের জল পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই। ডাবের জল পুষ্টির ভাণ্ডার। ডাবের জলে যেসব ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়, সেগুলো শরীরে পুষ্টি জোগাতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ফলের রসের মধ্যে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই সমৃদ্ধ হয়। পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিক পদার্থের সমৃদ্ধ উৎস। ক্যালোরির দিক দিয়ে বিবেচনা করলেও ডাবের জলে ফলের রসের তুলনায় ৬০% কম ক্যালোরি রয়েছে। যেমন ধরুন, ১০০ গ্রাম আপেলের রসে ৪৬ ক্যালোরি থাকে। কিন্তু একই পরিমাণ ডাবের জলে ১৮.৪ ক্যালোরি থাকে। তাই আপনি যদি ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ কমাতে চান, তাহলে ডাবের জল পান করুন। |
ডাবের জলের তুলনায় ফলের রসে বেশি ফাইবার থাকে। এটি হজম স্বাস্থ্যকে উন্নত করার জন্য উপকারী। অন্যদিকে, ডাবের জলে ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। পেটের সমস্যা, ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা থাকলে ডাবের জল উপযুক্ত। এমনকি বমি বমি ভাব, পেট খারাপের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ডাবের জল পান করুন। ওজন কমানোর জন্য সহায়ক ডাবের জল। এছাড়া ডাবের জলের ক্ষারীয় প্রকৃতি দেহে পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আপনি যদি সারাদিন জুড়ে ক্লান্তি, দুর্বলতা অনুভব করেন, তাহলে ফলের রস পান করুন। ফলের রসের মধ্যে বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে। এটি রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ফলের রস বিপাকীয় হার বাড়াতে সাহায্য করে। ফলের রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তবে, খালি পেটের ফলের রস পান করবেন। তার চেয়ে খালি পেটের ডাবের জল পান করা উপকারী।