*** ত্রিফলার কার্যকারিতা :- ত্রিফলা বলতে প্রধানতঃ তিনটে ফলকে বোঝায়। এগুলি হল : ১. আমলকী ২. হরিতকি এবং ৩. বহেড়া। এদের বহুগুণ আছে। যদি আমরা প্রতিদিন নিয়ম করে এগুলি সেবন বা খেতে পারি ,তাহলে আমাদের শরীরের নানান রকমের রোগ দূরীভূত হবে এবং শরীর সুস্থ ও সবল থাকবে। এদের কাজগুলি নিচে আলাদা আলাদা ভাবে দেখানো হল। যথা -
২. মেহ রোগে : প্রতিদিন ১ টা করে আমলকী খেতে হবে।
৩. চুল ওঠা , পাকা : কাঁচা আমলকী বেটে নারকেল তেলে মিশিয়ে ১৫-২০ দিন মাথায় মাখতে হবে।
৪. যোনীর ব্যাথায় : ২ চামচ হেলেঞ্চা বা হিঞ্চে শাকের রস , ২ চামচ কাঁচা আমলকীর রস একত্রে মিশিয়ে রোজ ১ বার করে ১০-১২ দিন খেতে হবে।
৫. শ্বেত প্রদরে : সমপরিমাণ পাকা আমলকীর বীজ গুঁড়ো করে এবং মিছরী গুঁড়ো মিশিয়ে ৭ দিন ধরে দিনে চার -পাঁচবার করে খেতে হবে।
৬. কিডনি রোগে : আমলকী খাওয়া উচিত নয়।
**হরিতকি :
১. কোষ্ঠকাঠিন্য : ১০ গ্রাম হরিতকির গুঁড়ো গরম জলের সঙ্গে রাত্রে শোবার সময় খেলে সকালে পায়খানা পরিষ্কার হয়।
২. গা - বমিভাব : ছোট একটা হরিতকির টুকরো সামান্য মধুসহ খেলে বমিভাব দূর হয়।
৩. শূলরোগ :১০ গ্রাম হরিতকির গুঁড়ো এবং ১০ গ্রাম আখের গুড় মিশিয়ে খেতে হবে।
৪. পায়ুর রোগে :১০-১২ টি হরিতকির বীচি দুধের সঙ্গে সিদ্ধ করে ঐ দুধ ছেঁকে নিয়ে রোজ একবার করে ১৫ দিন খেতে হবে।
৫. মূত্রকৃচ্ছ : ২ চামচ হরিতকির গুঁড়ো , ২ চামচ হিঞ্চের রস , ১ চামচ চিনি একত্রে মিশিয়ে খেতে হবে ২-৩ বার প্রতিদিন।
৬. আঙ্গুলহারা : সামান্য হরিতকি ঘষা এবং সামান্য চন্দন ঘষা একত্রে মিশিয়ে লাগাতে হবে প্রতিদিন।
১. ক্রিমিতে : ১০ গ্রাম বহেড়ার শাঁস সামান্য ডালিমের রস সহ ৭ দিন খেলে ক্রিমি ভালো হয়ে যাবে।
২. স্বরভঙ্গ : কয়েক টুকরো বহেড়া ঘিয়ে ভেজে নিতে হবে। ঐ টুকরো মুখে রাখলে স্বরভঙ্গ সেরে যাবে।
৩. শ্বাস -কাশ : ১ চামচ বহেড়ার গুঁড়ো ১ চামচ মধূসহ খেলে শ্বাস -কাশ উপশম হয়।
৪. চুল ওঠা : ২-৩ টি বহেড়া ২ কাপ জলে সেদ্ধ করে সেই জল ছেঁকে নিয়ে তার মধ্যে সামান্য নারকেল বাটা ও সামান্য মেথি বাটা মিলিয়ে চুলে লাগাতে হবে রোজ একবার করে ২৫ দিন।
সুতরাং , বন্ধুগণ , এই ভেষজ উপাদানগুলি নিয়ম করে সেবন করুন এবং সুস্থ থাকুন ,ভালো থাকুন ও সবাইকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করুন।
No comments:
Post a Comment